শেয়ার বাজারে একদম নতুন বিনিয়োগকারী হিসেবে আমার বহুল উচ্চারিত একটি প্রশ্ন ছিল – ‘কোন শেয়ার কিনব?’ উত্তরে অভিজ্ঞরা দুই-একটা শেয়ারের নাম বলত। কিন্তু আমরা নতুনরা সাহস করে জানতে চাইতাম না কেন ঐ শেয়ার কিনব। তাঁরাও আগবারিয়ে ব্যাখ্যা করতেন না কেন ঐ শেয়ারটি সম্ভবনাময়। ফলাফল – একটি ট্রেড শেষ হলেই আবার তাদের খোঁজ বেরিয়ে পড়তাম। দেখা পেলে আবার সেই একই প্রশ্ন ‘কোন শেয়ার কিনব?’
বেশ পুরোনো একটি প্রবাদ আছে (সম্ভবত চাইনিজ) – ‘ ক্ষুদার্তকে মাছ ভাজা না দিয়ে তাকে মাছ ধরা শিখিয়ে দাও।’ যেহেতু হাতে ধরে শিখিয়ে দেয়ার কেউ ছিল না, তাই বাদ্ধ হয়েই ভাজা মাছ খাওয়া বাদ দিয়ে কোমর বেধে অনলাইন দুনিয়ে নেমে গেলাম মাছ ধরা শিখতে। খুজতে খুজতে পেয়েও গেলাম কিছু ষ্টক পিকিং স্ট্রেটেজি। আজ তেমনই একটি স্ট্রেটেজি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি, যা মিশেল হিগিন্স প্রদত্ত Doges of Dow ইনভেস্টমেন্ট স্ট্রেটেজি হিসেবে পরিচিত।
যেহেতু আপনি এক জন নতুন বিনিয়োগকারী সেহেতু প্রথমেই অধিক ঝুকি গ্রহন আপনার জন্য মারাত্বক বিপদজনক কাজ। তার চাইতে নগন্য ঝুকি নিয়ে তুলনামুলক কম লাভে ব্যাবসা শুরু করা বুদ্ধিমানের কাজ। তাই আসুন এবার দেখি নতুন পোর্টফলিওর জন্য কিভাবে আপনি আপনার কাংখিত শেয়ার বাছাই করবেন।
- ঢাকা ও চট্রগ্রাম উভয় স্টক এস্কচেন্জেই বর্তমানে DSE30 ও CSE50 নামে ২ টি ইন্ডেক্স আছে। এই ইন্ডেক্সটি আসলে স্বস্ব শেয়ার বাজারের সব চেয়ে ভাল শেয়ারের সমন্নয়ে তৈরী। আপনি এই কম্পানি গুলোর নাম একটি কাগজে লিখুন।
- নামের পাশে বর্তমান দাম ও সর্বশেষ দেয়া ডিভিডেন্ড গুল লিখুন।
- এবার তালিকা থেকে সব চেয়ে বেশি ডিভিডেন্ড দেয়া ১০ টি কম্পানিকে চিন্হিত করুন এবং তাদের নিয়ে দ্বিতীয় একটি তালিকা করুন।
- এবার দ্বিতীয় তালিকা থেকে সবচেয়ে কম দামী (বর্তমান বাজার মূল্য অনুযায়ী) ৫ টি কম্পানি নিয়ে তৃতীয় একটি তালিকা করুন।
আপনার বাছাই প্রকৃয়া শেষ, এবার কেনার পালা। কেনার জন্য আপনি ৩ টি উপায়ের যে কোন একটি অনুসরন করতে পারেন যা নির্ভর করবে আপনার ক্যাশ টাকার পরিমাণের উপর –
- উপায়-১ যদি আপনার পুজির পরিমাণ ৫০ লক্ষ থেকে ১ কোটি হয় তবে দ্বিতীয় তালিকায় থাকা ১০ কম্পানির শেয়ারই কিনুন।
- উপায়-২ যদি আপনার পুজির পরিমাণ ২০ লক্ষ থেকে ৫০ লক্ষ হয় তবে তৃতীয় তালিকায় থাকা ৫ কম্পানির শেয়ারই কিনুন।
- উপায়-৩ যদি আপনার পুজির পরিমাণ ৫ লক্ষ বা তার কম হয় তবে তৃতীয় তালিকায় থাকা ৫ টি কম্পানির মধ্যে ২য় ও ৩য় শেয়ারটি কিনুন।
আসসালামুআলাইকুম । এই আর্টিকল টি আরও এক বার পড়েছি এবং নোট করে রেখেছি । আজকে আবার নতুন করে ঝালাই করে নিলাম ।ধন্যবাদ আপনাকে ।
আসসালামুআলাইকুম । বিনিয়োগ পাঠশালা ৪ ৫ আজকে পূনঃপাঠ করলাম ।আপনাকে ধন্যবাদ ।
আসসালামুআলাইকুম । বিনিয়োগ পাঠশালা ৪ ও ৫ আজকে পূনঃপাঠ করলাম ।আপনাকে ধন্যবাদ ।
আপনার পরামর্শ খুবই উপকারী এত প্রাঞ্জল ও সাবলীলভাবে লিখেছেন সত্যি যে কেউ মুগ্ধ হবে, আমার একটা জিজ্ঞাসা আছে তা হল, একটি কোম্পানীর শেয়ারে আমরা চার ধরণের বিনিয়োগকারী শেয়ার হোল্ডিং দেখতে পাই, ১-স্পন্সর ডাইরেক্টর হোল্ডিং শেয়ার, ২-ইনস্টিটিউট হোল্ডিং, ৩- ফরেন হোল্ডিং, ৪-পাবলিক হোল্ডিং, আমারা সাধারণত: জানি যে স্পন্সর ডাইরেক্টর এর হোল্ডিংয়ে বেশি এবং পাবলিক হোল্ডিংয়ে যদি কম শেয়ার থাকে তাহলে ঐ কোম্পানীর শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীকে সহজে আকৃষ্ট করতে পারে, এবার আসি ইনস্টিটিউট ও ফরেন হোল্ডিংয়ের কথায়-কোন কোম্পানীতে যদি ইনস্টিটিউট এবং ফরেনার এর হোল্ডিংয়ে বেশি শেয়ার থাকে তাহলে একজন সাধারণ বিনিয়োগকারী হিসাবে আমরা ঐ শেয়ারের প্রতি আকৃষ্ট হব না ঐ শেয়ার থেকে দূরে থাকব ? আশা করি আপনার মূল্যবান মতামত দিয়ে কৃতার্থ করবেন ।
ডিরেক্টর হোল্ডিং এর পাশাপাশি যদি একটি স্টকের ইনস্টিটিউট হোল্ডিং ও ফরেন হোল্ডিং বেশী থাকে তবে তা সাধারন বিনিয়োগকারীদের ভাল বার্তা দেয়। তবে শুধু মাত্র শেয়ার হোল্ডিং পেটার্ন দেখে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত নয়। শেয়ার হোল্ডিং পেটার্ন এর পাশাপাশি কোম্পানির অন্যান্য ফান্ডামেন্টাল দিক দেখে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিন।
আপনাকেও ধন্যবাদ।